চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি হাসপাতালে আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ফায়ারম্যান গাউসুল আজম (২৩)। শনিবার রাত ৩টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গাউসুল আজম যশোরের মনিরামপুরের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।
গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন নেভাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। তার শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে যায়। নেওয়া হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়।
ইনস্টিটিউট প্রধান সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধায়নে চলতে থাকে চিকিৎসা। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান গাউসুল আজম।
হাসপাতালে সার্বক্ষণিক সঙ্গে থাকা গাউসুল আজমের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান জানান, অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে তিনি ভেতরে যাওয়ার ১০-১৫ সেকেন্ড পর তার শ্যালক মারা যান।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে ৪ জুন রাত ১০টার দিকে আগুন লাগে। চার দিন পর আগুন নেভে। এ ঘটনায় গাউসুল আজমকে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০ কর্মীর মৃত্যু হলো। আর নিহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত।
গত শনিবার রাতে বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ৬১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।